ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পালিয়ে আসা নারীসহ ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি :: চট্টগ্রাম গার্মেন্টস থেকে পা‌লি‌য়ে আসা এক চাক সম্প্রদায়ের নারীর করোনা শনাক্ত হবার খবর পাওয়া গেছে। গার্মেন্টস থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারীটির বাড়ী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের কুরিক্ষং চাক পাড়ার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুরে ওই করোনা উপসর্গ নারীসহ পরিবারের সংস্পর্শে আসা পাচঁ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সেই নমুনা (সেম্পল) কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। নমুনার ফলাফল আসলে বুঝা যাবে তাদেরকে আইসোলেশনে ভর্তির প্রয়োজন আছে কিনা।
তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে এবং প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি চট্টগ্রাম গার্মেন্টস থেকে পালিয়ে আসা চাক সম্প্রদায়ের এক নারী বিগত দুই,তিন মাস ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধপত্র নিয়ে আত্মগোপন করেন নিজ এলাকায়।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এক পর্যায়ে চাক সম্প্রাদায় মহল থেকে প্রশাসনকে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে খবর দেয়।
কারন ওই দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় মোবাইল সংযোগের কোন নেটওয়ার্ক নেই।

আপাতত ওই ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে নমুনা টেস্টের ফলাফলের পর ওই নারীর আরও বিষায়াদি জানা যাবে।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই গামেন্টস কর্মী জ্বর ও কাঁশি-সর্দিতে ভুগছেন প্রায় দুই-তিন মাস যাবত।বতর্মান পরিস্থিতি অনুযায়ী জ্বর, কাঁশি করোনার উপসর্গ জানতে পেরে সে নিজে গোপনে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করে কিছু ঔষুধপত্র নিয়ে আত্মগোপন হয়ে চলে আসে গ্রামের নিজ বাড়ীতে। তার এসব খবরা খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো চাক সম্প্রদায়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকা নারীটি গার্মেন্টস কর্মী বলে বিষয়টি জানতে পারি গত কাল সন্ধ্যায়। দূর্গম পাহাড়ী এলাকা বলে তাৎক্ষণিক নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।
পরদিন সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি টিম ওই এলাকায় পাঠিয়ে দুপুর বেলায় পৌছেঁন তারা। গার্মেন্টস কর্মীর নমুনা সংগ্রহসহ পরিবারের সংস্পর্শে আসা ৫ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে নমুনা টেস্টের ফলাফলের উপর নির্ভর করা হবে লকডাউন দেয়ার বিষয়টি।

পাঠকের মতামত: